আলহামদুলি’ল্লাহ্; বর্তমান প্রজন্মে মুসলিম হিসেবে আমরা সকলেই
দাওয়াহ্’ ও ইসলাহ্’র প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি এবং সেই তাড়নায় আমরা সকলেই সচেষ্ট হচ্ছি
আপন পরিমন্ডলে দাওয়াহ্’র জন্য। অনেকেই Online এ বিভিন্ন Platform এ দাওয়াহ্ করছেন।
প্রতিনিয়ত কুরআন, হাদীসের বাণী, ছোট ছোট Article তথাপি আবেগপ্রবণ status দিয়ে নিজেদের
দায়িত্ব সারছি। এখানে, প্রশ্ন হলো আমরা যাদেরকে Prospect হিসেবে নিয়েছি তারা সকলেই
সমমনা; অর্থাৎ সকলেই একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ের জ্ঞান রাখেন এইসব evaluate করার জন্য।
তাই, online এ দাওয়াহ্ বড়জোর ইসলাহ্’র পর্যায়ে উন্নীত হয়। তাদের তুলনায় দাওয়াহ্’র অধিক
হকদার; আমাদের সমাজের সেই সকল মানুষ যারা মনে করছে; ‘they are Muslim for
granted’; অথচ তারা ইসলামের প্রকৃত বাণী উপলব্ধি করে না।
আরেকটি, ব্যাপারে হলো এটা পক্ষান্তরে ক্ষতি করছে নিষ্ঠাবান
ত্বলিবুল ইলম’দের যারা অন্যের status এ like আর commenting অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট
করছে। এইসব status সাময়িকভাবে ইন্দীয় তাড়না সৃষ্টিকারী ছাড়া আর কিছু নয়। দ্বীনী ইলম
পদ্ধতিগতভাবে শিখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন মুসলিম হিসেবে আমি ইলমে বেড়ে উঠছি কিনা
তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
আরেকটি ব্যাপার হলো, আমরা উম্মাহ্ হিসেবে যার অভিযোগ সবচেয়ে
বেশী করি, তা হলো ‘আল-ওয়ালা ওয়াল বারা’। এখানে, আমি একটা বিষয় টানতে চাই, আমাদের দেশের
বাতিল রাজনৈতিক মতাদর্শে বেড়ে উঠা দলগুলোর কর্মীরা তাদের এই মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য
রাজপথে জীবন দিতে পিছপা করছেনা ; অথচ আমি মুসলিম হিসেবে কতবার ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান,
ইরাক, ইয়েমেন, সিরিয়া, চেচনিয়া, কাশ্মীরের মুসলিম ভাইয়ের জন্য কেঁদেছি। দেশের সর্বত্র
আল্লাহ্ এবং তার রাসূল সাঃ কে নিয়ে কটুক্তি শুনতে শুনতে কান ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে; অথচ
আমাদের ভাবান্তর নেই! পক্ষান্তরে, আমাদের ঈমান’ই ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। কেননা, নিজের জীবনের
চেয়ে রাসূল সাঃ কে ভালবাসা ঈমানের দাবী। হে আল্লাহ্! আমাদের ক্ষমা করো আর আমাদের সমস্ত
কাপুরুষতা দুর করে দাও।
যে ব্যাপারটি, সকল মুসলিমকে ভ্রাতৃত্ববোধে আবদ্ধ করে তা হলো
:
“আশহাদু আল লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ”
আর, একজন মুসলিমের আল্লাহ্’র জন্য ভালবাসা আর আল্লাহ্’র জন্য
ঘৃণা করা ঈমানের পরিপূর্ণতার পরিচায়ক। আমাদের online দাওয়াহ্ সেই ভালবাসা আর ঘৃণার
কিয়দংশও পূরণ করেনা; পূরণ করেনা সেই সুন্নাহ’র যার কারণে আবু উবায়দাহ্ ইবনুল জাররাহ্
তার পিতাকে হত্যা করেছিলেন কিংবা মুসাইয়াব ইবন উমায়ের’এর তার বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে দ্বীনের
দা’য়ী হওয়া এবং শাহাদাহ্ বরন করে দাফনের কাপড় না পাওয়া।
প্রশ্ন আমার নিজের কাছে, আমি কি প্রবৃত্তির অনুসরন করছি?
দ্বীনের পথে একসাথে সংগ্রামে করা, ত্যাগ স্বীকার করা, নির্যাতিত
হওয়া মক্কার মুহাজিরদের দৃঢ়ত্ব দান করেছিলো; যার ফলশ্রুতিতে তারা লাভ করেছিলো চুড়ান্ত
সাফল্য।
আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনুল কারীমে বলেছেন:
“তোমাদের কি
এই ধারণা যে, তোমরা এমনিতেই জান্নাহ্’য় চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি-
যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনিভাবে শিহরিত
হতে হয়েছে যাতে নবী ও তার প্রতি যারা ঈমান এনেছিলো তাদেরেকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে
যে, কখন আসবে আল্লাহ্’র সাহায্য! তোমরা শোনে নাও, আল্লাহ্’র সাহায্য একান্তই নিকটবর্তী।” [সুরা বাকারাহ্: ২১৪]
আমি যা বলতে চেয়েছি তার সারমর্ম হলো এই:
“Living in mental diaspora and communicating through
social networks and blogs doesn’t bind us as compassionate; some specific
shares intrigue our psyche for an instance. But, we are wasting most of our
times here; thus, we are abandoning community Dawah and acquiring knowledge in
coherent manner.”
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের বোঝার তৌফিক দিন।امين
সৈয়দ মাহমুদ গজনবী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন