সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১২

বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতায় যুব সমাজের অবক্ষয়ঃ সমাধান কোন পথে?

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

আজকে আমাদের সমাজে চলমান খুবই দুঃখজনক একটি বাস্তবতা হলো, আমরা অনেক সময়ই আমাদের যুব-তরুণদেরকে দীন ও ইসলামের বিভিন্ন বিষয় থেকে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে অনেক সময়ই বিরত রাখার একটি চেষ্টা করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, সুকৌশলে বা অবচেতনভাবে আমরা যুবকদেরকে ইসলাম সংক্রান্ত বিষয় থেকে দূরে সরিয়ে রাখি। এক্ষেত্রে তরুণ-যুবকদের সামনে তুলে ধরা হয় যে, যৌবনকাল হচ্ছে এনজয় করার সময়। শ্লোগান দেয়া হচ্ছে লাইফ তো একটাই, ফ্রেশ থাকতে চাই।

আর যদি কেউ বা কোন যুবক ইসলাম নিয়ে অধ্যয়ন করতে চায়, ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে দাওয়াত দিতে চায় তাহলে তাকে উৎসাহ দানকারীর চেয়ে নিরুৎসাহিত কারীর সংখ্যাই সমাজে বেশি দেখা যায়। তাকে বলা হয় আরে রাখো, ধর্ম-কর্ম তো বার্ধক্যের জন্যআগে কিছুদিন আনন্দ-ফুর্তি করো। নিজের ক্যারিয়ার গড়ো। তারপর এক সময় রিটায়ার্ড করার সময় হবে। ব্যবসায়ী হলে সন্তানদের বিয়ে শাদি করানোর পর হজে যেতে হবে। হজ থেকে এসে দাড়ি রাখবে। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়বে। রোজা রাখবে। তখন এই সকল কাজের মাধ্যমে ইসলাম পালন করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা যাবে।

অথচ যদি আমরা কুরআন এবং সুন্নাহর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো যে, ইসলাম মানব জীবনের সবচেয়ে বেশী মূল্যবান সময় নির্ধারণ করেছে যৌবনকালকে। প্রতিটি মানুষের যৌবনকাল হচ্ছে ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। মহানবী (সা) তার এক হাদীসের মাঝে ইরশাদ করেনঃ

لا يضع قدما ابن ادم حتى يسئل عن خمس. عن عمره فيما افناه وعن شبابه فيما ابلاه وعن ما له من اين إكتسبه وفيما أنفقه و ماذا عمل فيما علم أوكما قال عليه الصلوة والسلام.

অর্থঃ কিয়ামতের দিন কোনো বনী আদমই পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে এক কদম আগে বা পিছে নড়ার অনুমতি পাবে না। তার মধ্যে প্রথম প্রশ্ন হবে তার জীবন সম্পর্কে, কোথায় সে এটি ব্যায় করেছে। দ্বিতীয় প্রশ্ন করা হবে তার যৌবন কাল সম্পর্কে কি কাজে সে যৌবনকাল নষ্ট করেছে। তৃতীয় প্রশ্ন সম্পদ কিভাবে উপার্জন করা হয়েছে। চতুর্থ প্রশ্ন উপার্জিত সম্পদ কোন কাজে এবং কোথায় ব্যয় করেছে। পঞ্চম ও শেষ প্রশ্ন যে সকল বিষয়ে সে জ্ঞানার্জন করেছিলো তার কতটুকু আমল করেছে।” (বুখারী)

এই হাদীসের মাঝে মহানবী (সা) আমাদের বোঝাতে চাচ্ছেন যে, প্রতিটি মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় হলো তার যৌবনকাল। আর একারণেই কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ মানুষের জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন করে তারপর আরো নির্দিষ্টভাবে তার জীবনের যৌবনকাল সম্পর্কেও জানতে চাইবেন। যার দ্বারা বুঝা যায় যে যৌবনকালের গুরুত্ব ইসলামে অপরিসীম।

এছাড়াও অপর এক হাদীসে মহানবী (সা) আরো ইরশাদ করেন যে, মানুষের যৌবন কালের আমল মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়।

মুসলিম উম্মাহর যুব-তরুণ সম্প্রদায়কে আজকে বিভিন্ন চক্রান্তের মাধ্যমে ঘুম পাড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। আজকে তরুণ-যুবকদেকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানী গুলো তাদের নীতি-নৈতিকতা এবং আদর্শিক বিশ্বাসকে বিলুপ্ত করার জন্য একেরপর এক চরিত্র বিধ্বংসী নানাবিধ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। বহুজাতিক কোম্পানী এবং আজকের কর্পোরেট মিডিয়া সম্মিলিতভাবে মুসলিম তরুণ-তরুণীর মধ্যকার হিযাব এবং পর্দাকে উঠিয়ে দেয়ার জন্য জেহাদ শুরু করেছে। তারা নতুন একটি ট্রেন্ড চালু করেছে, যার মাধ্যমে বর্তমানে এক বোতল প্রাণ, লেমন, মোজো, ম্যাংগোলি শুরু করে বিস্কিট, চকোলেটের বিজ্ঞাপনেও তরুণ-তরুনীর অর্ধ-উলঙ্গ নাচকে ফরজ করে দিয়েছে। ভাবখানা এমন যে, পন্য যাই হোক না কেন, তার বিজ্ঞাপনে মুসলিম তরুণ-তরুনীর এক সাথে ঢলাঢলি করে নাচতে হবেই। না হলে সেই পন্য মানসম্মত হবে না এবং বিক্রিও হবে না?বাংলালিংকের দেশ সংযোগের বিজ্ঞাপন তো হিন্দুদের হলি খেলার ঢলাঢলিকেও হার মানিয়েছে। গ্রামীণ ফোনের ডিজুস সীম বিক্রি করতে বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে মধ্য রাতে উঠে তরুণ-তরুণীরা গোপানে তাদের ঘর ছেড়ে বের হয়ে যাচ্ছে এবং খোলা মাঠে উদ্দাম নৃত্যের তালে তালে নাচছে আর গাইছে, তুমি আসোনি সাড়া দিতে....

এভাবে তারা এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সম্পদ তরুণ-যুবকদেরকে ব্যস্ত করে দিয়েছে ইন্দ্রীয় পুজায়। এরপর তাদেরকে ঘোষণা দিয়ে আহ্বান করছে, একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বলছে, ‍"বন্ধু, আড্ডা, গান = হারিয়ে যাও।" অর্থাৎ বন্ধু আড্ডা আর গান নিয়ে তোমরা হারিয়ে যাও। দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহ নিয়ে তোমাদের ভাবার কোন দরকার নেই।

কাছে আসার গল্প শোনানোর নাম করে বিবাহ-বহির্ভূত প্রেম-ভালোবাসাকে সমাজে স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা করছে তারা। কিভাবে প্রেম করতে হবে, কোন টুলে দাড়িয়ে প্রেমিকাকে চিঠি দিলে তার হাতে পৌঁছবে তাও বলে দিচ্ছে। নাটক সিনেমার মাধ্যমে লিভটুগেদার আর জিনা-ব্যাভিচারের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে হাতে-কলমে। এভাবে তারা একদিকে মুসলিম তরুণ-তরুণীর মধ্যে পাশবিক চেতনা জাগ্রত করছে, অপরেদিকে বিবাহ থেকে তাদেরকে নিষেধ করছে। দূরে সরিয়ে রাখছে। ত্রিশোর্ধ যুবককে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরামর্শ দিচ্ছে বিয়ে না করার। তাকে বলছে, আরে ভাই বিয়েতে অনেক খরচ। তাই বিয়ে না করে ১৩০০ টাকা দিয়ে এই মোবইল সেট কিনেন আর প্রেমিকার সাথে ফাও প্যাচাল পারেন। অথচ মহানবী সা. যুবকদেরকে বিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং সবচেয়ে বরকতপূর্ণ বিবাহ বলে আখ্যায়িত করেছেন সেই বিয়েকে যেখানে খরচ কম হয়।

ইদানিং তো শুরু হয়েছে আরেক ক্রেজ। বিশ্বকাপের জ্বরে আক্রান্ত পুরো দেশ। পুরো জাতির সামনে এখন যেন একটাই লক্ষ্য, একটাই উদ্দেশ্য। যে কোনোভাবে বিশ্বকাপে ভালো খেলে বিজয়ী হওয়া। অন্য সব ষ্টাররা চাপা পরে গিয়েছে। তরুণ-যুবকদের সামনে এখনকার ষ্টার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে সাকিব আল হাসানদেরকে। লক্ষ্য তাদের একটাই ক্রিকেট জয়। যেন এই ক্রিকেটে জয় করতে পারলেই মুসলমানদের সারা বিশ্বের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কি অদ্ভুত চিন্তা আর কি তার সমাধান!

অথচ কুরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী এই উম্মাহর যুব-তরুণদের জয় আর বিজয়ের স্বপ্ন হওয়ার কথা ছিলো মহান আল্লাহর দীনকে অন্য সকল বাতিল মতাদর্শ ও জীবন ব্যবস্থার উপর বিজয়ী করার মিশন। যেমন ইরশাদ হয়েছে পবিত্র কুরআনে,

هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ
অর্থ: তিনিই সে মহান সত্বা যিনি তার রাসূল সা. কে সত্য দীন এবং হিদায়াত দিয়ে এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন যাতে করে এই দীনকে অন্য সকল বাতিল দীনের উপর বিজয়ী করতে পারেন।" (সূরায়ে তাওবা, আয়াত ৩৩)

আজকে যখন এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানরা ইসলামকে বিজয়ী করার এই মিশনের কথা ভুলে গিয়ে বন্ধু আড্ডা আর গান নিয়ে হারিয়ে গেছে, তখন এই উম্মাহরও অবক্ষয় আর অধ:পতন শুরু হয়েছে। মুসলিম উম্মাহ আজ ৫৭ টি ভূখন্ডে বিভক্ত। মুসলমাদের মাঝে আজ ঐক্য নেই। যেই উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য আল্লাহর রাসূলের লাশ মোবারকের দাফনকে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বিলম্বিত করা হয়েছিলো। মুসলমানদের এক আমীর বা খলীফা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যেই রাসূলের জানাযা পর্যন্ত দেয়া হয়নি, অথচ একজন মানুষ ইন্তেকালের পর তার প্রথম হক থাকে তাকে কাফন দেয়া এবং জানাযা পরে সমাহিত করা। কিন্তু স্বয়ং মহানবী সা. এর ক্ষেত্রেই এটি করতে বিলম্ব করা হয়েছিলো উম্মাহর ভূখন্ডগত ঐক্য এবং এক খলীফা নির্বাচনের ব্যপারটি সমাধা না হওয়ার কারণে। সেই উম্মাহ আজকে ৮৭ বছর যাবত খিলাফত ও ইসলামিক ব্যবস্থা ছাড়া সময় কাটাচ্ছে কিন্তু তার নওযোয়ানদের মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে না।

আজকে আমেরিকা একটি সুপার পাওয়ার কেন হতে পেরেছে? কারণ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ ৫২ টি স্টেট মিলে সে ইউনাইটেড ষ্টেট বা যুক্তরাষ্ট্র হয়েছে। আজকে বৃটেন কেন উন্নত দেশ? কারণ সে যুক্তরাজ্য। অনেক গুলো রাষ্ট্রের সমষ্টিতেই আজকে বৃটেন এতো ক্ষমতাশীল। আর আজকে মুসলিম উম্মাহ কেন দূর্বল আর নির্যাতিত? কারণ তারা ৫৭ টি ভুখন্ডে বিভক্ত।

রাসূল সা. বলেছিলেন,

المسمون كجسد واحد إن إشتكى عينه إشتكي كله إن إشتكي رأسه إشتكى كله.

"আমার পুরো উম্মত হলো একটি দেহের ন্যায়, যদি সেই দেহের কোন একটি অংঙ্গে যেমন চোখে বা মাথায় ব্যথা পায়, তাহলে তার ব্যাথায় সারা শরীর ব্যাথিত হয়।" (মুসলিম)

অথচ আজ সারা মুসলিম উম্মাহ ক্ষত-বিক্ষত, কিন্তু কারো মাঝেই কোন প্রতিক্রিয়া নেই।

এই উম্মাহকে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান তরুণ-যুবকদের দরকার। যদি এই উম্মাহর এই সন্তান গুলো আজো আবারো ঘুরে দাঁড়ায়, তাহলে খোদার কসম! এই পৃথিবীর মানচিত্র বদলে যেতে বাধ্য। তবে দীন কায়িমের এই পথটি কিন্তু কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বরং কাঁটা বিছানো। তাই এই পথে চলতে হলে ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করার মানসিকতা নিয়ে চলতে হবে। এসব কষ্ট স্বীকার করে যদি আজ আবারও এমন একটি জামায়াত উঠে দাঁড়ায় হযরত বিলাল রা. মতো, যিনি উমাইয়া ইবনে খালফের শত নির্যাতনেও মহান আল্লাহর একত্ববাদ থেকে ফিরে যান নি।

যদি একটি যুব কওম ঘুরে দাঁড়ায় হযরত উসমান ইবনে আফ্ফান রা. মতোযাকে দীন ইসলাম গ্রহণ করার কারণে তার চাচা কষ্ট দিয়েছিলো। চাঁটাইয়ের মধ্যে পেচিয়ে আগুনের ধুয়া দিয়েছিলো কিন্তু তারপরও তিনি ইসলাম বিজয়ের মিশন ত্যাগ করেন নি।

যদি একটি দল আজ আবারও উঠে আসে সেই হযরত খাব্বাব আর খুবাইব রা. মতো, যারা শত নির্যাতন সয়েছেন, শুলিতে চড়েছেন কিন্তু নিজের স্থানে প্রিয়নীব আসা বা দীনের এতোটুকু ক্ষতি হোক তাও মানতে নারাজ ছিলেন।

যদি এই উম্মাহর মা-রা এমন কিছু নবীন সন্তানকে পেটে ধারণ করতে পারে যারা হবে হযরত আবূ আইউব আনসারী রা. মতো। যিনি চরম অসুস্থ্যতা থাকা সত্ত্বেও তুরস্ক বিজয়ের জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যুদ্ধ বিজয়ের আগে শাহাদাতের পূর্ব মুহূর্তে সঙ্গী সাথীদেরকে এই বলে ওসিয়ত করেছিলেন যে, তাকে যেন তুরস্কের প্রাচীরের ভেতরে কবর দেয়া হয়। যেন তিনি কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর দরবাররে বলতে পারেন যে এই ভূমিকে ইসলামিক জীবন ব্যবস্থার অধীনে আনা এবং এর অধিবাসীদেরকে মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত করার জন্য তিনি জীবন দিয়েছিলেন।

এই উম্মাহর তরুণ-যুবকদের মাঝে এধরণের একটি জামাত কি আজ সত্যি আবারও পাওয়া যাবে? নাকি এই উম্মাহর বিজয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে?

কুরআন-সুন্নাহ এবং ইতিহাস বলে, মহান আল্লাহ তার দীনকে বিজয়ী করার জন্য আমাদের কারো প্রতি মুখাপেক্ষী নন। বরং আমরাই আমাদের ইহ-পরকালীন সর্বাঙ্গীন সফলতার জন্য আল্লাহর দীনের কাজের অংশিদার হওয়ার মুখাপেক্ষি। এই জাতির তরুণ-যুবকরা যদি ইসলামের দিকে ফিরে না আসে, আলেম উলামারা যদি দীন ইসলামকে অন্য সকল বাতিল মতাদর্শের উপর বিজয়ী করার জন্য স্বরব ভূমিকা না নেন, তবে আল্লাহর শপথ, তিনি অন্য কোন কওম বা জাতিকে তার এই কাজের দায়িত্ব দিবেন এবং তাদের মাধ্যমেই ইসলামের কাজ করবেন। তখন আমরা হবো হতভাগা।

কিন্তু তা চাই না। বরং আমরাই মহান আল্লাহর দীন কায়েমের জন্য দায়ী হতে চাই। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী গুলো এবং তাদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এই উম্মাহর তরুণ-যুবকরা জাগতে শুরু করেছে। তিউনিসিয়া, মিশর তারপর সেই জোয়ার আসছে সারা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে। কবে আমরা নিজেদেরকে মানব রচিত মতবাদ আর মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত করে আল্লাহর গোলামীর দিকে নিজেদেরকে মনোনিবেশ করাতে পারবো?

আল্লাহ আমাদের শীঘ্রই এই তাওফীক দিন। আমীন।

আবু উমায়ের খান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন