[আমার
ব্যক্তিগত আত্মোপলদ্ধি এই লেখা কারো সমালোচনা নয়]
A
timely reminder for all of us....
কিছু
কিছু কাজ আমরা দ্বীনের মধ্যে করি; যেগুলো আমরা করি পূণ্যলাভের আশায় যা কোরআন-হাদীস
সম্মত নয়। যারা কোরআন-হাদীস না পড়ে এইসব কাজ করতে থাকে; তারা এর মধ্যে সীমালঙ্গনের কিছু
দেখে না। তাই, তারা তওবা করার বা শোধরানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা
বেশী। কিন্তু যারা জানে; তারা এই ও জানে শিরকের পর শয়তানের সবচয়ে প্রিয় মেন্যু বিদআহ্।
আমি
এই প্রসঙ্গ কেন টানলাম? আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেরা বুঝব না কিংবা নিরীক্ষা দ্বারা নির্ণয়
করতে পারব না আমরা অসুস্হ ততক্ষণ আমাদের চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। কিন্তু দেরীতে ক্যান্সার
নির্ণয়ে চিকিৎসা বিফল; এই কথা মনে রাখতে হবে।
এইবার এই প্রসঙ্গ, ফেসবুকে টানি। আমি নিজের বেলায় দেখি। আমি ভাবছি ফেসবুকে বসি দাওয়াহ্ এবং
শেখার উদ্দেশ্যে। উদাহরণস্বরুপ, আমি একঘন্টা ফেসবুকে বসে পাঁচটি কোরআনের আয়াতের অনুবাদ,
তিনটি হাদীস like দিলাম, দু' একটা comment দিলাম।
এইখানে
আমার কয়েকটি প্রশ্ন:
#আমি
কি পরিপূর্ণ নিষ্ঠা, মনোসংযোগ এবং চিন্তাশীল মননে like দিলাম? নাকি আমার like দেয়া
গতানুগতিকভাবে এলাম, দেখলাম, like দিলাম কিন্তু যথার্থ চিন্তা করলাম না।
#এই
সময়ে offline study করলে আমি কি শিখতে পারতাম?
#আমি
দৈনিক কত সময় ফেসবুকে এবং কত সময় কোরআনে ব্যয় করি?
#আমি
কতটুকু সময় হারালাম আর কি শিখলাম? কেননা, Time is life; time separates you from
death.
#সূরা
আসরে আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা কি সময়ের শপথ নিয়ে পথভ্রষ্টতার কথা বলেন নি?
এই
প্রশ্নের কোন সন্তোষজনক জবাব আমি নিজে পাই নি। আমি অন্যদের নিষ্ঠাবান ভাবি।
তবে,
ইসলামবিরোধীরা প্রতিনিয়ত আমাদের psychology এবং behavioral patter নিয়ে In-Depth
study করে। তারা এমনভাবে Social Networking Site এর GUI (Graphical User Interface)
তৈরী করে; যা আমাদের মোহাবিষ্ট করে। কারণ, ফেসবুকে like, notification এবং comment
এর red sign আমাদের মস্তিষ্কে প্রতিনিয়ত তাড়িত করে; যত না তাড়িত করে কোরআন এবং হাদীসের
বাণীগুলো।
আমাদেরক
করা হচ্ছে De-sensitized (স্নায়ু অবসাদগ্রস্থ)। একটু উদাহরণ দিই, আপনি প্রথম মিথ্যা
বলার সময় যে শিহরণ এবং ভীতি অনুভব করেছেন, পরবর্তী সময়ে তা আর অনুভব করেনি।
Facebook
is place of burning out of emotions and intellects of your superb brain. Just
think a while.....
আমরা
যদি রাসুলল্লাহ্ (সাঃ) এর সাহাবীদের জীবনে জাহিলিয়াহ এবং ইসলামের মাঝে পার্থক্য দেখি,
তা হল কোরআন। আমরা কোরআনবিমূখ হলে চলবে না, কিন্তু ফেসবুক বিমূখ হলে কিছুই আসে যায়না।
আমাদের জীবন কোরআন ঘিরে আবর্তিত হোক; এই আমার কাম্য।
একটু
ভাবুন!!!
আমি
এবং আপনি সকলের প্র্তি আমার অনুরোধ। আমাদেরকে আল্লাহ বোঝার শক্তি দিন। امين
সৈয়দ মাহমুদ গজনবী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন