রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

খিলাফত প্রতিষ্ঠায় মুসলিম সেনাবাহিনীর ভূমিকা পর্ব-২


খিলাফাহ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ

তারপর রসুল (সা) আরও উদ্যমে হজ্বের সময় মক্কার বাহিরে বিভিন্ন গোত্র প্রধানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন তৎকালীন আরব সমাজের এসব গোত্র প্রধানরা মূলত বর্তমান সময়ের বিভিন্ন সরকার প্রধান ও সামরিক নেতৃত্বের দায়িত্বে অবস্থান করা ব্যাক্তিদের সমতুল্য

ইবনে ইসহাক থেকে বর্ণিত সিরাতে ইবনে হিশামে রসুল (সা.) এর বিভিন্ন গোত্র প্রধানদের কাছে যাওয়া এবং তাদের কাছ থেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য নুসরাহ্ প্রার্থনা করার বিশদ বর্ণনা রয়েছে ইবনে ইসহাক বলেন, ‘তায়েফ হতে ফিরে এসে রসুল (সা.) একনিষ্ঠভাবে নুসরাহ্র বিষয়টি প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের নিকট উপস্থাপন করতে লাগলেন এ ব্যাপারে হজ্বের সময়টি রসুল (সা.) পুরোদমে কাজ করার জন্য ব্যবহার করেন তিনি আরবের বিভিন্ন গোত্র প্রধানদের কাছে ইসলাম এবং এর পরিপূর্ণ ব্যবস্থা উপস্থাপন করতে শুরু করেন তৎকালীন আরব সমাজে এমন একজন ব্যাক্তিও নেই যে, তিনি হজ্বের সময় এসেছেন এবং নিজস্ব গোত্রে তার সামান্যতম প্রভাব আছে অথচ রসুল (সা.) তার সাথে সাক্ষাৎ করেননি

সিরাতে ইবনে হিশামে ইবনে ইসহাক থেকে বর্ণিত যে রসুল (সা.) ক্বালব গোত্রের কাছে গিয়েছিলেন, যারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছিল তিনি গিয়েছিলেন আল ইয়ামামাহর হানিফা গোত্রের কাছে, যারা রসুল (সা) এর সাথে এমন খারাপ আচরণ করেছিল যা ইতপূর্বে কেউ করেনি রসুল (সা.) বনী আমের ইবনে সাসা গোত্রের কাছে যান যারা রসুল (সা) এর উপর তাদের জন্য কর্তৃত্বের দাবীর শর্ত জুড়ে দিয়ে রসুল (সা.) এর বাণীকে গ্রহণ করতে রাজী হন রসুল (সা.) তাদের এমন শর্ত সাপেক্ষে ইসলাম গ্রহণকে নিজেই প্রত্যাখ্যান করেন অতঃপর রসুল (সা.) ইয়েমেন থেকে আগত বনী কিন্দাহার কাছে যান এবং ইসলাম গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন ও এর নিরাপত্তা বিধানের জন্য সমর্থন চান তারাও সাসা গোত্রের মত রসুল (সা) এর উপর তাদের জন্য কর্তৃত্বের দাবীর শর্ত জুড়ে দিয়ে ইসলাম গ্রহণে সম্মত হন রসুল (সা) এবারেও তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি বকর বিন ওয়াইল এর নিকট যান এবং তারা রসুল (সা.)কে প্রত্যাখ্যান করেন এই কারণে যে, তাদের অবস্থান তৎকালীন সুপার পাওয়ার পারস্যের নিকটবর্তী ছিল রসুল (সা.) বনী রাবীয়াহ্ গোত্রের কাছে যান এবং তারা নবীজির কথার কোন উত্তর দেননি রসুল (সা) তারপর বনু সাইবান গোত্রের কাছে যান এবং তারা রসুল (সা.)-কে গ্রহণ করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে রাজী হন, তবে ইসলামী রাষ্ট্রের নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা রসুল (সা.)-কে বলেন যে, তারা আরবের বিরুদ্ধে ইসলাম ও রসুল (সা.)-কে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত কিন্তু পারস্যের বিরুদ্ধে নয় রসুল (সা) তাদেরকে বলেন, ‘তোমাদের সত্যকে গ্রহণ করার ধরণ তাকে প্রত্যাখ্যান করার সমতুল্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার এই ইসলামের ব্যাপারে কারও প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করা হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সে ইসলামের সব কিছুকে গ্রহণ ও একে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত থাকে

রসুল (সা.) এরপর নুসরাহ্ পাবার জন্য তাঁর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন এটা এমন ছিল যে, তিনি একটি নিরবিচ্ছিন্ন মিশনের সফলতার দিকে এগিয়ে যাবার দায়িত্ব পালন করছিলেন এতগুলো প্রত্যাখ্যান তাঁর দৃঢ়তার ব্যত্যয় ঘটাতে পারেনি না তিনি এই পদ্ধতি সম্পর্কে এতটুকু পর্যন্ত সন্দেহ পোষণ করেছেন তিনি হতাশও হননি, না তিনি পথ পরিবর্তন করেছেন

আল ওয়াতাদিতে যাদ আল মাদ বর্ণনা করেন যে, ‘রসুল (সা.) যে সব গোত্রের কাছে ইসলাম গ্রহণ, প্রতিষ্ঠা ও এর নিরাপত্তার জন্য সাহায্য চেয়েছেন তার মাঝে রয়েছে বনী আমের ইবনে সাসা, মুহারিব ইবনে হাফসা, ফাজারাহ, গাসসান, মুরাহ, হানিফাহ, সুলাঈম, আবস বনু নজর, বনু বিকা, বনু কিন্দাহ, বনু কালব, হারিতা ইবনে কাব, উজরাহ, হাজরামিচ এরা কেউই রসুল (সা.)কে সমর্থন করেননি

এত কিছুর পরও যখন আল্লাহর রসুল (সা) থেমে যান নি তখনই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তার এই দ্বীনকে (জীবন বিধানকে) সাহায্য করতে শুরু করেন সিরাতে ইবনে হিসামে ইবনে ইসহাক থেকে বর্ণিত যে, যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার প্রেরিত ইসলামের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা করলেন এবং রসুল (সা.)কে তাঁর দায়িত্ব পূরণের জন্য অনুগ্রহ করলেন তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা হজ্বের সময় রসুল (সা.)-এর সাথে মদিনার আনসারদের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি আল আক্বাবায় খাজরাজ গোত্রের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সম্মানিত করার ইচ্ছে পোষণ করেন তাদের সামনে রসুল (সা) ইসলামের ব্যবস্থা উপস্থাপন করেন তারা আল্লাহর রসুল (সা) এর আহবানকে গ্রহণ করেন এবং তাদের সাথে আউস গোত্রের দীর্ঘদিনের শত্রুতা সমাধানের জন্য মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন পরবর্তী বছর হজ্বের সময় তারা ১২ জনকে নিয়ে ফেরত আসেন এবং রসুল (সা.) এর সাথে সাক্ষাৎ করেন তারা রাসুল (সা.)-কে মান্য করা এবং ইসলামের বাস্তবায়নে রসুল (সা.)কে সাহায্য করার অঙ্গীকার করেন এটা ইতিহাসে আক্বাবার প্রথম শপথ হিসেবে পরিচিত তারপর তারা মদিনাতে ফিরে যান এবং রসুল (সা) মুসায়েব ইবনে উমার (রা)কে তাদের কাছে প্রেরণ করেন যাতে করে মদিনার সমাজকে ইসলামের জন্য তৈরি করা হয় এরই মধ্যে মদিনার অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ রসুল (সা) এর সাথে সাক্ষাৎ করে ইসলাম ও মুহাম্মদ (সা)কে রক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন

মদিনায় ইসলাম দ্রুত প্রসারিত হতে লাগল মুসায়েব (রা.) মাত্র এক বছরের মাঝে মদিনায় ইসলামের ভীতকে শক্ত ও শক্তিশালী করার ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেন এরই মাঝে পরবর্তী বছর ৬২২ সালে নব্যুয়তের ১২ তম বছরে ৭৩ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলাসহ মোট ৭৫ জন মুসলিম মদিনা থেকে আবার রসুল (সা.) এর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন রসুল (সা.) তাদের সাথে গোপনে সাক্ষাৎ করে ইসলামের প্রতি তাদের আনুগত্য এবং আন্তরিকতার ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করেন তারা রসুল (সা.) এর সাথে তাশরিকের দিনগুলোতে রাতের শেষভাগে আল আক্বাবায় সাক্ষাৎ করার প্রতিশ্রুতি দেন রসুল (সা.) তাদের বলেন, ‘কাউকে জাগাবেনা, এবং কারও জন্য অপেক্ষা করবে না তারা রাতের শেষভাগে আল আক্বাবায় অপেক্ষা করতে থাকেন যতক্ষণনা পর্যন্ত রসুল (সা) তার চাচা ইবনে আব্বাস সহ সেখানে হাজির হলেন প্রথমে ইবনে আব্বাস বললেন, ‘হে খাজরাজের লোকেরা! আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, মুহাম্মদের অবস্থান আমাদের মাঝে কেমন? আমরা মুহাম্মদের নিরাপত্তা দিয়েছি তিনি তার লোকদের মাঝে সম্মান ও নিরাপত্তার সাথে অবস্থান করছেন কিন্তু তিনি আপনাদের সাথে যেতে চাচ্ছেন আপনারা যদি মনে করেন যে আপনারা যে প্রতিশ্রুতি তাকে দিয়েছেন এবং তার প্রতিপক্ষদের নিকট থেকে তাকে রক্ষা করতে পারবেন তবে আমাকে আপনাদের দায়িত্বের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন যে তিনি আপনাদের সাথে যাবার পর তার সাথে প্রতারণা করবেন এবং তাকে শত্রুর সামনে ত্যাগ করবেন তবে তাকে এখনই ত্যাগ করুন তারা বলল, “হে ইবনে আব্বাস আমরা আপনার কথা শুনেছি হে আল্লাহর রসুল (সা) এখন আপনার মুখ থেকে কথা শুনতে চাই আপনি আপনার ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য যা ভাল তা গ্রহণ করুন রসুল (সা.) দাঁড়ালেন এবং পবিত্র কুরআনের থেকে তার বক্তব্য শুরু করলেন সিরাতে ইবনে হিশামে ইবনে ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন যে, রসুল (সা.) তাদের কাছে এ মর্মে শপথ গ্রহণ করেন যে, “আমি আপনাদের এই মর্মে ইসলামের আনুগত্য করার জন্য আহবান জানাচ্ছি যে, আপনারা ইসলাম গ্রহণ করবেন এবং আমাকে নিরাপত্তা দেবেন যেভাবে আপনারা আপনাদের মহিলা ও সন্তানদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন আল বারা ইবনে মার রসুল (সা.)-এর হাত ধরেন এবং বলেন, “নিশ্চয়ই যিনি আপনাকে এই সত্যসহ রসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন তাঁর শপথ, আমরা আপনাকে রক্ষা করব যেমনিভাবে আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করে থাকি হে আল্লাহর রসুল! আমাদের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করুন আল্লাহর কসম আমরা যুদ্ধের সন্তান এবং যুদ্ধের অস্ত্রসমূহ আমাদের জন্য খেলনা এটাই আমাদের ও আমাদের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য আল বারার এই বক্তব্যের মাঝেই আবু আল হাইতাম ইবনে তাইহান বলেন, হে আল্লাহ্র রসুল (সা.), আমাদের সাথে মদিনার অন্যান্য গোত্রের (ইহুদী) সম্পর্ক আছে আর আমরা যদি তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করি তবে আল্লাহ্ যখন আপনাকে বিজয় দেবেন তখন আপনি যদি আমাদের ছেড়ে আপনার লোকদের মাঝে ফিরে আসেন? রসুল (সা) হাসলেন এবং বললেন, ‘না তোমাদের রক্তই আমার রক্ত তোমাদের নিকট যা পবিত্র তা আমার নিকট পবিত্র আমি তোমাদের থেকে আর তোমরা আমার থেকে আমি তাদের সাথে যুদ্ধ করব যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করবে, আর আমি তাদের সাথে শান্তি স্থাপন করব যারা তোমাদের সাথে শান্তি কামনা করে

আব্বাস ইবনে উবাদা তখন দাঁড়িয়ে বলেন যে, ‘হে মদিনার লোকেরা! তোমরা কি বুঝতে পারছ যে, তোমরা এই ব্যাক্তিকে আনুগত্য করার ব্যাপারে কি ধরণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছ? এটার অর্থ হল সমস্ত আরবের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া যদি তোমরা মনে কর যে, এর মাধ্যমে তোমরা তোমাদের সম্পদ হারাবে, তোমাদের সম্মানিত ব্যাক্তিরা নিহত হবে এবং তোমরা এই দায়িত্ব হতে অব্যাহতি চাইবে তবে তা এখনই কর আর যদি তোমরা তা পরে কর, তবে তা তোমাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের লজ্জার কারণ হবে যদি তোমরা মনে কর যে তোমরা এ দায়িত্বের প্রতি আস্থাশীল থাকবে যদিওবা এর মাধ্যমে তোমরা তোমাদের সম্পদ হারাবে তোমাদের সম্মানিত ব্যাক্তিরা নিহত হবে, তবে তাকে গ্রহণ কর নিশ্চয়ই এর মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদেরকে দুনিয়ায় ও পরকালে লাভবান করবেন তারা বলল, “হে আল্লাহর রসুল (সা) আমরা আপনাকে গ্রহণ করব, তবে হে আল্লাহর রাসুল (সা)! আপনার প্রতি আমাদের এই আনুগত্যের বিনিময় কি? রাসুল (সা) দৃঢ়তার সাথে বললেন, “জান্নাত তারপর তারা আল্লাহর রাসুল (সা) এর হাতে হাত রাখলেন এবং তাদের আনুগত্য প্রকাশ করলেন এই বলে যে, “আমরা আপনাকে বিপর্যয় ও ভাল সময়ে, কঠিন ও সহজ সময়ে মানার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমরা সর্বদা সত্য কথা বলব এবং প্রতিরোধে ভীত হবনা তাদের আনুগত্যের শপথ শেষে রসুল (সা.) বললেন, “তোমাদের মাঝে খাজরাজ হতে ৯ জন ও আউস হতে ৩ জন নেতা আমার কাছে নিয়ে আস এই ১২ জনকে রসুল (সা.) বললেন, তোমরা তোমাদের লোকদের অভিভাবক, যেমনিভাবে ঈসা ইবনে মারিয়ামের ১২ জন অনুসারী নেতা ছিল, আর আমি আমার জনগণের জন্য দায়িত্বশীল আর এভাবেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়ন করেন এবং ইসলামকে রাষ্ট্র মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার হুকুম অনুযায়ী রসুল (সা.) নুসরাহ্ (সমর্থন) আদায়ের অবিরাম প্রচেষ্টা এবং এ কাজের প্রতি তার নিষ্ঠা ও দৃঢ়তা, যদিও নানাবিধ হতাশা এবং নিপীড়ন তাকে অভিষ্ঠ লক্ষ্য হতে একচুলও নড়াতে পারেনি, এটাই প্রমাণ করে যে নুসরাহ্ (সমর্থন) আদায়ের কাজটি সুনির্দিষ্ট এবং তা ফরজ এটাই হচ্ছে খিলাফত প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী জীবন ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করার একমাত্র পথ এবং এ পথ থেকে এক চুলও বিচ্যুত হওয়া জায়েজ নয় বর্তমান সময়ে যেদল ইসলামী জীবনব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত ও খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে তাদের অবশ্যই রসুল (সা.) এর দেখানো পথ অনুযায়ী সমাজের প্রভাবশালী গোষ্ঠির (বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের সেনাবাহিনী) নিকট নুসরাহ্ (সমর্থন) আদায়ের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে ইসলামী জীবনব্যবস্থাকে পুনরুজীবিত করার জন্য নুসরাহ (সমর্থন) আদায় একটি রাজনৈতিক কাজ ইসলামী চিন্তার ভিত্তিতে যখন সমাজে জনমত গঠিত হয় ও এই চিন্তার সমর্থনকারী একটি গোষ্ঠি গঠিত হলেই এই নুসরাহ্র কাজ শুরু করতে হয় এই নুসরাহ্ (সমর্থন) একমাত্র সেনাবাহিনী থেকেই আসা সম্ভব এবং মুসলিম বিশ্বের যে সেনাবাহিনী একাজটি করবে তাদের পুরষ্কার হবে দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরষ্কার, আর জান্নাতের চেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ পুরষ্কার আর কী হতে পারে!

চলবে ...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন