মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

স্বর্ন ও রৌপ্য ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা কি ভাবে মূল্যের ভারসাম্য রক্ষা করে?



১। প্রত্যেক মূল্যবান ধাতুর একটি নিজস্ব মূল্য (intrinsic value) রয়েছে। যেমন ধরুন স্বর্ণ; মানুষের নিকট এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বিশেষত এই ধাতুগুলো মুদ্রা হিসেবে স্বকীয় এবং শুধুমাত্র কোণ একটি নির্দষ্ট রাষ্ট্রের অর্থনীতির উপর নির্ভরশীল নয়। আমরা জানি একটি রাষ্ট্রের অর্থনীতি আমদানী (imports), রপ্তানী (exports) ও ব্যয় (expenditures) ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল। এর পাশপাশি রাজনীতিরও প্রভাব থাকতে পারে এবং এগুলো কখনো একই রকম থাকে না। সুতরাং, রাষ্ট্রের মুদ্রাব্যবস্থার (currency) যদি নিজস্ব মূল্যমান থাকে যা কিনা রাষ্ট্রের অর্থনীতির সাথে সম্পর্কিত নয়; তাহলে এই মুদ্রাব্যবস্থা অবশ্যই ভারসাম্যপূর্ন হবে।

২। স্বর্ন ভিত্তিক মুদ্রানীতি বিভিন্ন রাষ্ট্রের মুদ্রাগুলোর মধ্যে বিনিময় হারকে (exchange rate) ভারসাম্যে রাখে কারন স্বর্নের নিজস্ব মূল্য রয়েছে। কারন মুদ্রার মূল্যের উপর রাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রভাব খুব একটা না থাকায় মুদ্রার বিনিময় হারের মধ্যে তেমন পার্থক্য থাকে না।

৩। আভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক মুদ্রাব্যবস্থা একই রকম হওয়ায় জনগন রাষ্ট্রের ভিতরে ও বাহিরে একই ধরনের মুদ্রার বিনিময় করবে; যা বর্তমানে হয় না। আভ্যন্তরীন লেনদেনের জন্য মানুষ দেশীয় মুদ্রা ব্যবহার করে ও অন্য রাষ্ট্রে ক্ষেত্রে ধাতব মুদ্রা বা অন্য একটি মুদ্রা যাকে আদর্শ ধরা হয় তার দ্বারা লেনদেন করা হয়। যদি রাষ্ট্রের ভিতরে ও বাহিরে একই রকম মুদ্রা ব্যবহার করা হয় তবে তা অবশ্যই মুদ্রামানকে স্থিতিশীল রাখবে।

 ৪। স্বর্ণ বা রূপার মূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কোন কারন নেই। ঐতিহাসিকভাবে প্রমানিত বিশ্বে স্বর্ণের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে বার্ষিক দুই শতাংশ করে, যে সরবরাহ চাহিদার সাথে সামজ্ঞস্যপূর্ন। আর পৃথিবীতে যে পরিমান স্বর্ণ ও রূপা ব্যাক্তি বা রাষ্ট্রের অধীনে রয়েছে তার সামগ্রিক বর্তমান বাজার দর এতো বেশী যে স্বর্ণ বা রূপার মজুতদারী করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।  

1 টি মন্তব্য: