বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২

ইসলামী রাষ্ট্র - ক্রুসেডারদের বিদ্বেষ

[নিম্নোক্ত প্রবন্ধটি প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক শাইখ তাকী উদ্দীন আন-নাবহানি (রাহিমাহুল্লাহ) কর্তৃক লিখিত ‘আদ-দাওলাতুল ইসলামীয়্যাহ’ (ইসলামী রাষ্ট্র) বইটির খসড়া অনুবাদ-এর একাংশ হতে নেয়া হয়েছে]

১৮৯৬ সালে একজন প্রখ্যাত ফরাসী লেখক, কাউন্ট হেনরি দ্যোকাস্ত্রি তার রচিত ইসলামশীর্ষক গ্রন্থে লিখেছে,

আমি কল্পনা করতে পারিনা মুসলিমরা কি ভাববে যদি তারা মধ্যযুগীয় উপকথা গুলো শুনতে পেত এবং জানতে পারত যে, খৃষ্টানরা তাদের নিয়ে কি ধরণের ছড়াগান (স্তোত্রগীত) রচনা করত! আমাদের সকল ছড়াগান, এমনকি ১২শ শতকের পূর্বের ছড়াগানগুলোও একটিমাত্র ধারণা থেকে বিকশিত হয়েছিল এবং ক্রুসেডের পিছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল। এসকল স্তোত্রগীতগুলো ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্পূর্ণ অজ্ঞতা ও মুসলিমদের প্রতি চরম বিদ্বেষে পরিপূর্ণ ছিল। এ সকল ছড়াগানগুলোর সুবাদে ইউরোপের মানুষের অন্তরে ইসলাম ধর্মের প্রতি তীব্র ঘৃণা গেঁথে গিয়েছিল। একধরণের বিধ্বংসী ধারণা তাদের অন্তরের গভীরের প্রোথিত হয়েছিল এবং যা আজো তাদের মাঝে বিদ্যমান। প্রত্যেকেই মুসলিমদের মুশরিক, অবিশ্বাসী, মূর্তিপুজারী ও ধর্মত্যাগকারী (মুরতাদ) হিসাবে বিবেচনা করত।

এভাবেই খৃষ্টান ধর্মগুরুরা ইউরোপে মুসলিম ও তাদের দ্বীন সম্পর্কে প্রচারণা চালাত। মধ্যযুগের অভিযোগগুলো ছিল ভয়ঙ্কর এবং তা মুসলিমদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা ও শত্রুতার আগুন প্রজ্জ্বলনে ব্যবহৃত হত। এর প্রভাবে গোটা ইউরোপ আচ্ছন্ন হয়েছিল এবং এর ফলেই ক্রুসেডার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। খৃষ্টানদের হাতে চরমভাবে পরাজিত ও অপদস্থ হবার প্রায় দুইশত বছর পর মুসলিমরা আবার ১৫শ শতাব্দীতে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে জিততে শুরু করেছিল এবং ইসলামী রাষ্ট্র কন্সটান্টিনোপোল জয় করতে সক্ষম হয়। এরপর ১৬শ শতাব্দীতে মুসলিমরা দক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপ জয় করে নেয় এবং সেখানকার মানুষের কাছে ইসলামকে নিয়ে যায়। আলবেনিয়া, যুগোস্লাভিয়া, বুলগেরিয়া ও অন্যান্য দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলাম গ্রহন করে। ক্রুসেডারদের বিদ্বেষ ও শত্রুতা পূনরায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠে এবং ওরিয়েন্টালিস্ট ধারণা বিকশিত হতে শুরু করে। এর লক্ষ্য ছিল মুসলিম সেনাবাহিনীর মোকাবেলা করা, ইসলামের অগ্রযাত্রা রহিত করা এবং মুসলিমদের হুমকি খর্ব করা।

ইউরোপীয়ানদের অন্তরের গভীরে প্রোথিত এই শত্রুতা, ইউরোপের সকল খৃষ্টানদের মুসলিম ভূখন্ডে বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির নামে মিশনারীদের পাঠানোর ব্যাপারে করিৎকর্মা করে তুলেছিল। এ মিশনগুলো স্কুল, ক্লিনিক, সংঘ ও ক্লাব গঠনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল। ইউরোপীয়ানরা তাদের সমস্ত সম্পদ ও সমগ্র প্রচেষ্টা মিশনারীদের পিছনে ব্যয় করতে শুরু করল। তাদের কর্মপন্থা (পলিসি) ও লক্ষ্যের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা ও কর্মপদ্ধতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল। যেহেতু এগুলো তাদের কনসাল, রাষ্ট্রদূত (এম্বাসাডার), প্রতিনিধি ও মিশনারীদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে তাই মিশনারী কার্যক্রমের পিছনে রাষ্ট্র ও জনগণ এক হয়ে গিয়েছিল।

পশ্চিমাদের অন্তরের ক্রুসেডারদের বিদ্বেষ ও ঘৃণা সযত্নে লালিত হচ্ছিল, বিশেষত ইউরোপ ও বৃটেন বাসীদের অন্তরে। তাদের মনের গভীর লালিত ভয়াবহ শত্রুতা ও নোংরা চিন্তাধারার আমাদের মাতৃভূমিতে আমাদের চরম লাঞ্ছনার মূল কারণ হিসাবে কাজ করেছিল। ১৯১৭ সালে জেনারেল এলেনবি আল-কুদস এ প্রবেশ করে ঘোষণা করল,

শুধুমাত্র আজই ক্রুসেডের পরিসমাপ্তি ঘটল।

এটি ছিল তার অনুভূতির এক সাধারণ বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এ থেকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার এবং প্রতিটি ইউরোপীয়ানের অন্তরে লালিত ঘৃণা ও দুষ্টবুদ্ধি স্পষ্ট হয়ে যায়। এটি তাদের প্রতিটি যুদ্ধের - সাংস্কৃতিক কিংবা সামরিক- মূল চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করেছে। আল্লাহ সুবহানুওয়াতালা বলেছেন,

তাদের মুখে বিদ্বেষ প্রকাশ পায় এবং তাদের হৃদয় যা গোপন রাখে তা আরো গুরুতর।” [আলি-ইমরান, ৩ঃ১১৮]

সন্দেহাতীত ভাবেই এলেনবি যা বলেছিল তা দুঃখজনক এবং তার দেশ বৃটেন যা লালন করছিল তা আরো গুরুতর। প্রতিটি ইউরোপীয়ানের জন্যই একথা প্রযোজ্য।

ক্রুসেডের দিনগুলো থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ঘৃণা ও বিদ্বেষ বিরাজ করেছে এবং আজো তাদের চক্রান্ত অব্যহত আছে। আমরা আজ রাজনৈতিক দিকগুলোর সাথে সাথে অত্যাচার, অপমান, উপনিবেশ ও শোষণের যে রূপ প্রত্যক্ষ করছি তা অদ্যাবধি মুসলিমদের প্রতি তাদের নির্মম প্রতিশোধ গ্রহণেরই অংশ। অবশ্যই এটি বিশেষভাবে মুসলিমদের উদ্দেশ্যেই পরিচালিত।

লিওপোল্ড ওয়েইস, “ইসলাম এট দ্য ক্রসরোডসবইতে লিখেছে, “নিশ্চয়ই রেনেসাঁ বা বিজ্ঞান ও ইউরোপীয় শিল্পের পূণর্জাগরণ, ইসলাম ও আরব উৎসের নিকট ঋণী। এটি পশ্চিম ও পূর্বের মাঝে একটি বস্তুগত সংযোগ তৈরী করেছিল। বাস্তবিকই ইউরোপ ইসলামী বিশ্বের কাছ থেকে ব্যাপক উপকৃত হয়েছিল, কিন্তু তারা কখনোই এই উপকারের কথা স্মরণ রাখেনি কিংবা স্বীকৃতিও দেয়নি; তারা ইসলামের প্রতি বিদ্বেষের মাত্রা কমিয়ে কোনরূপ কৃতজ্ঞতাও দেখায়নি। বস্তুতঃ দিন দিন তাদের এই ঘৃণার মাত্রা গভীর ও তীব্র হয়েছে এবং এক সময় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তাদের মধ্যে এই ঘৃণা জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং প্রতিবার মুসলিম শব্দটি উচ্চারণের সাথে সাথে তা তাদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বংশ পরম্পরায় এই ঘৃণা প্রতিটি ইউরোপীয় নারী পুরুষের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে, এবং তাদের মন ও মগজের গভীরে প্রোথিত হয়ে গেছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, সব ধরণের সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের পরও তা তাদের মাঝে আজো জীবিত রয়েছে। এরপর ধর্মীয় সংস্কারের একটি সময় এসেছিল যখন ইউরোপ বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ে ভাগ হয়ে গেল। তারা থাকত পরস্পরের বিরুদ্ধে রণ সাজে সজ্জিত, লড়াইয়ে উন্মুখ। কিন্তু তখনো প্রতিটি গোত্রের মাঝে ইসলামের প্রতি একই মাত্রার তীব্র বিদ্বেষ ও শত্রুতা পরিলক্ষিত হতে লাগল। সময়ের পরিক্রমায় দ্রুত ধর্মীয় উন্মাদনা ম্লান হয়ে গেল কিন্তু ইসলামের প্রতি তাদের একই রকম তীব্র ঘৃণা বজায় রইল। এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে ফরাসী দার্শনিক ও কবি, ভলটেয়ার। যদিও সে খৃষ্টীয় বিশ্বাস ও গীর্জার প্রতি শত্রুভাবাপন্ন ছিল, কিন্তু একই সাথে সে ইসলাম ও ইসলামের রাসুলের প্রতি অনুরূপ ঘৃণা ও ঔদ্ধত্য প্রকাশ করত। এর কয়েক দশক পর পশ্চিমা বুদ্ধিজীবিরা বিদেশী সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করতে শুরু করল এবং তাদের মাঝে একধরণের উদারমনস্ক ও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গীর জন্ম নিয়েছিল। কিন্তু যখনই ইসলামের কথা আসত তখনই তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পুরনো ক্ষোভ ও সঙ্কীর্ণতা প্রবেশ করত। ইউরোপ ও ইসলামী বিশ্বের মাঝে ইতিহাসের যে ব্যবধান রচিত হয়েছিল তা আর কখনোই জোড়া লাগেনি এবং ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ ইউরোপীয় চিন্তা চেতনার এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।” 

উপরে উল্লেখিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই মিশনারী সংগঠনগুলো গঠিত হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল খৃষ্টধর্মের প্রচার এবং মুসলিমদের মাঝে তাদের দ্বীন সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি করা; এর মাধ্যমে তাদের অন্তরে সঙ্কীর্ণতার জন্ম দেয়া ও তাদের ব্যর্থতার জন্য ইসলামকেই দায়ী করা।

অন্যদিকে এসকল সংগঠনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও ছিল। উভয়দিক থেকে এর ফলাফল ছিল অসমানুপাতিক ও ভয়াবহ। মিশনারী আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কুৎসা রটনার মাধ্যমে ইসলামকে মুছে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে। এর সাথে যোগ হয়েছিল সমস্যা সৃষ্টি করে ইসলাম ও ইসলামের বিধান সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণার অবতারণা করা, মানুষকে আল্লাহর পথে চলতে বাধার সৃষ্টি করা এবং মুসলিমদের তাদের দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। মিশনারী আন্দোলনের পর এল ওরিয়েন্টালিস্ট আন্দোলন, যাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল এক ও অভিন্ন।

সমগ্র ইউরোপব্যাপী তাদের প্রচেষ্টা ও সম্পদ ঐক্যবদ্ধ করে তারা দ্বিতীয়বারের মত ইসলামের বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণা করেছিল। এটি ছিল একধরণের সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। এটি পরিচালিত হয়েছিল ইতিমধ্যেই ইসলামী বিধান, মূল্যবোধ ও মুসলিমদের ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মুসলিমদের মনকে কলুষিত করার উদ্দেশ্যে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক স্বচ্ছতার দোহাই দিয়ে তারা ইসলাম ও ইসলামের ইতিহাস বিকৃত করে মুসলিম যুবকদের মস্তিষ্ককে বিষাক্ত করে তুলেছিল। প্রকৃতপক্ষে অপসংস্কৃতির এই বিষাক্ত ছোবল ক্রুসেডারদের যুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল। মিশনারীরা বিজ্ঞান ও মানবতার নামে তাদের বিষাক্ত পুঁতিগন্ধময় আবর্জনা ছড়িয়ে দিতে লাগল। তারা এ কাজগুলো করত ওরিয়েন্টালিজম এর নামে। ওয়েইস বলেছে,

বাস্তবতা হচ্ছে, আধুনিক যুগের প্রথম ওরিয়েন্টালিস্ট ছিল খৃষ্টান মিশনারী, যারা মুসলিম দেশগুলোতে কাজ করছিল। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইসলামী শিক্ষা ও ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, দক্ষতার সাথে ইউরোপীয়দের মাঝে মুসলিমদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। তাদের ভাষায় মুসলিমরা ছিল মুর্তিপূজারী। মিশনারীদের প্রভাব থেকে ওরিয়েন্টালিস্ট গবেষণা পরবর্তীতে মুক্ত হয়ে গেলেও তাদের এই বিকৃত ধারণা অব্যহত ছিল। যদিও বা ওরিয়েন্টালিস্ট গবেষণাকে যেকোন ধর্মীয় ও অজ্ঞতার কুসংস্কার থেকে মুক্ত দাবী করা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইসলামের প্রতি ওরিয়েন্টালিস্টদের বৈরিতা তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সহজাত প্রবৃত্তিরই অংশ এবং এটি উদ্ভূত হয়েছে ক্রুসেডারদের যুদ্ধের প্রভাব থেকে।

এই উত্তারাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত বৈরিতাই পশ্চিমাদের অন্তরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ জিইয়ে রেখেছে। এটিই ইসলামকে এমনকি মুসলিম দেশ গুলোতেও মুসলিম বা অমুসলিম সবার নিকট জুজু হিসাবে চিত্রিত করে রেখেছে। তাদের দৃষ্টিতে ইসলাম মানবতার অগ্রযাত্রাকে ধ্বংসকারী এক অশুভ শক্তি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইসলাম সম্পর্কে তাদের প্রকৃত আশঙ্কাকে গোপন করার প্রয়াসমাত্র। তারা জানে যে সত্যিই ইসলাম যদি মানুষের অন্তরে ও চিন্তায় গভীরে প্রোথিত হয় তবে তা অবিশ্বাসী উপনিবেশবাদী শক্তির পতনের ডঙ্কা বাজিয়ে দেবে এবং ইসলামী রাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন পূনরায় বিশ্ববাসীর কাছে ইসলামের দাওয়াত বয়ে নিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ, অবশ্যই এটি পূনরায় ফিরে আসবে, এবং তা হবে মানবতা ও পশ্চিমের মঙ্গলার্থেই। মিশনারীদের কাজ অবশেষে তাদের দুঃখ ও বেদনার কারণ হয়ে দাড়াবে। আল্লাহ সুবহানুওয়া তালা বলেছেন,

আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত্ত করার জন্য কাফিররা ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তারা ধন-সম্পদ ব্যয় করতেই থাকবে; অতঃপর তা তাদের মনস্তাপের কারণ হবে,” [আল আনফালঃ ৩৬]

উত্তারাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বৈরীতা ইসলাম বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সহায়ক। আপনারা দেখবেন, পশ্চিমা পন্ডিতগণ কোনরূপ বিদ্বেষ ও সঙ্কীর্ণতা ছাড়াই তাওবাদ, হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম কিংবা সমাজতন্ত্র নিয়ে গবেষণা করে। কিন্তু তারা যখন ইসলাম নিয়ে গবেষণা করে, তখন তাদের মাঝে নোংরামি, ঘৃণা, এবং সঙ্কীর্ণতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। অথচ মুসলিমগণ অবিশ্বাসী উপনিবেশবাদীদের নিকট ইতিমধ্যেই পরাজিত হয়েছে। উপনিবেশবাদীদের সহায়তায়, পশ্চিমা ধর্মযাজকশ্রেণী এখনো সক্রিয়ভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এবং তারা কখনোই ইসলাম ও মুসলিম সম্পর্কে কুৎসা রটনা, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও তার সাহাবীদের অবমাননা এবং ইসলাম ও মুসলিমদের ইতিহাসকে বিকৃত করা থেকে বিরত হবেনা। নির্মম প্রতিশোধ গ্রহন ও উপনিবেশবাদীদের থাবাকে আরো দৃঢ় করতে তাদের এই নিরলস প্রচেষ্টা অব্যহত থেকেছে এবং থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন