“আল্লাহ
(সুবহানাহু ওয়া তায়ালা)’র কাছে একজন বিশ্বাসীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা এই দুনিয়ায়
যা কিছু রয়েছে তা সকল কিছুর চেয়েও গুরুত্বহীন”। (ইবনে মাজাহ)
আব্দুল্লাহ বিন
উমার (রা) বলেনঃ “একদিন আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কাবা ঘর তাওয়াফ করতে দেখেছি এবং তিনি
(সা) বলছিলেন “হে কাবা তুমি কতই না মধুর এবং কতই না মধুর তোমার সুবাস। তুমি কতই না
মর্যাদাপূর্ণ এবং কতই না মর্যাদাপূর্ণ তোমার পবিত্রতা, সেই সত্তার শপথ যার হাতে মুহাম্মদের
প্রাণ, নিশ্চয়ই একজন বিশ্বাসীর রক্তের মর্যাদা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে
তুমি কাবার মর্যাদার চাইতেও অধিক মর্যাদাপূর্ণ”। (ইবনে মাজাহ)
টিকাঃ
১। যদিও মুসলিম বিশ্বসহ
সমগ্র বিশ্ব পরিমণ্ডলে কাবাকে ইসলামের সর্ববৃহৎ মর্যাদাপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে
বিবেচনা করা হয়, যার দিকে মুখ ফিরিয়ে সমগ্র বিশ্বের মুসলিমরা প্রত্যাহ পাঁচ বার
সালাত আদায় করে, এমনকি যেখানে সালাত আদায় করা অন্যান্য যেকোন জায়গায় সালাত আদায়
করার চেয়েও অধিক তাৎপর্যপূর্ণ এবং পুরষ্কারমন্ডিত। তা সত্ত্বেও একজন মুসলমানের
রক্তের মর্যাদা আল্লাহ সুবহানাহাহু ওয়া তায়ালার কাছে তাঁর ইবাদতের উদ্দেশ্যে
নির্মিত প্রথম এই কাবা ঘরের চেয়েও অধিক মর্যাদাপূর্ণ।
২। যেহেতু একজন মুসলমানের
রক্তের মূল্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে এই কাবা ঘরের চেয়েও অধিক
মূল্যবান, এমনকি এই দুনিয়া এবং এতে যা কিছু রয়েছে তার চেয়েও অধিক মূল্যবান, তাই
মুসলিমদের উচিত সে যেন তার অপর মুসলিম ভাই বোনদের জান মালকে ঠিক সেভাবেই মূল্য দেয়
যেভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দিয়ে থাকেন, এবং সে যেন তার মুসলিম ভাই-বোনদের
পবিত্রতা ও মর্যাদা লঙ্ঘনকে কাবাঘরের প্রতি চালানো আগ্রাসনের চেয়েও অত্যাধিক
নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচনা করে।
৩। অতএব, আজকের বিশ্বে মুসলমানদের সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়া উচিত মুসলমানের পবিত্রতা, মর্যাদা রক্ষা করা। এবং এই
পবিত্রতা রক্ষা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় রাসুলুল্লাহ (সা) এর সে বিখ্যাত উক্তি “নিশ্চয়ই
ইমাম হচ্ছে ঢাল সরূপ, যার পেছনে দাঁড়িয়ে তোমরা যুদ্ধ কর এবং নিজেদের রক্ষা
কর......।” (মুসলিম)। তথাপি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা যাতে সমগ্র মুসলিম ভূখণ্ডগুলো সাম্রাজ্যবাদী
কাফির মুশরিকদের হাত থেকে মুক্ত করা, যাদের ইজ্জত রক্ষার্থে খলীফা সেনাবাহিনী
প্রেরণ করবেন, যার সম্মুখভাগ থাকবে ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, কাশ্মিরসহ
বিভিন্ন মুসলিম ভূখণ্ডে এবং পশ্চাৎভাগ থাকবে বাংলাদেশে। সমগ্র বিশ্বব্যাপী
মুসলিমদের চলমান অত্যাচার নির্যাতনকে চিরতরে বন্ধ করে দিবে। সবশেষে, সমগ্র
মানবজাতিকে সৃষ্টির দাসত্ব থেকে মুক্ত করে তার সত্যিকার রবের ক্ষমা ও অনুগ্রহের
দিকে আহবান জানাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন