ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকারীদেরকে অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজন সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার; এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য্য ও কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা। সম্পদ, পরিবার ও প্রাণের মূল্যে পাড়ি দিতে হবে এই দুর্গম পথ। বিশ্বাসীরা এই পথ অতিক্রমের সময় নিদারুণ যন্ত্রণায় পতিত হবে আর এর মাধ্যমেই আমাদের প্রভূ আমাদের ভেতর থেকে ভালকে মন্দের কাছ থেকে পৃথক করে নিবেন। আল্লাহ্ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেন:
“ঐ
সব লোকরা কি ধারণা করেছে যে, আমরা ঈমান এনেছি একথা বললেই তারা অব্যাহতি পাবে, আর তাদেরকে
পরীক্ষা করা হবে না? আর আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছিলাম যারা তাদের পূর্বে অতীত হয়েছে,
সুতরাং আল্লাহ্ সেই লোকদেরকে জেনে নিবেন যারা সত্যবাদী ছিল এবং জেনে নিবেন মিথ্যাবাদীদেরও।”
[সূরা আনকাবুত: ২-৩]
নবী,
রাসূল ও তাদেরকে যারা অনুসরণ করেছেন তারা সবাই দুঃখ, কষ্ট ও সীমাহীন কাঠিন্য দ্বারা
তীব্রভাবে পরীক্ষিত হয়েছেন। তারা যে অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন আল্লাহ তা কুর’আনে এভাবে
বর্ণনা করেছেন:
“তোমরা
কি মনে কর যে, (বিনা শ্রমে) জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ তোমাদের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটেনি
যা তোমাদের পূর্ববর্তীদের ক্ষেত্রে ঘটেছে; তাদের উপর এমন এমন অভাব ও বিপদ-আপদ এসেছিল
এবং তারা এমন প্রকম্পিত হয়েছিল যে, স্বয়ং রাসূল ও তাঁর মু’মিন সাথীরাও বলে উঠেছিল,
আল্লাহ্’র সাহায্য কখন আসবে? স্মরণ রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ্’র সাহায্য নিকটেই।” [সূরা
বাকারা : ২১৪]
আল্লাহ্’র
(সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) নিয়মই হচ্ছে যে দুঃখ, কষ্ট, সংকট ও কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম
করার পূর্বে তিনি স্বস্তি ও বিজয় দেন না। কাজেই, যারা ইসলামের বাণী বহন করবে দুঃখ,
কষ্ট, হতাশা, দারিদ্র, সীমাহীন কঠিন পরিস্থিতি ইত্যাদি তাদেরকে ঘিরে রাখবে এটাই স্বাভাবিক।
অত্যাচারী স্বৈরশাসকদের ষড়যন্ত্র, নির্যাতন ইত্যাদি যেন কিছুতেই বিশ্বাসীদেরকে এই পবিত্র
কাজ থেকে বিরত না রাখে এবং তাদের প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞাকে দুর্বল না করে। আল্লাহ্ (সুবহানাহু
ওয়া তা’আলা) আমাদেরকে জানাচ্ছেন যে, একটা চরম অসহায় অবস্থায় উপনীত হওয়ার আগ পর্যন্ত
তিনি তার রাসূলদের প্রতিও সাহায্য আর বিজয় পাঠাননি। আল্লাহ্ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা)
বলেন,
“অবশেষে
যখন রাসূলগণ নিরাশ হয়ে পড়লেন এবং তাদের ধারণা জন্মাল যে, আমাদের বুঝের ভুল হয়েছে, তখনই
তাদের নিকট আমার সাহায্য এসে পৌঁছাল।” [সূরা ইউসুফ: ১১০]
হযরত
আদম (আঃ) থেকেই হক্ক ও বাতিলের, ইসলাম ও কুফরের যে দ্বন্ধ চলে আসছে তা নিরন্তর সংগ্রামেরই
ইতিহাস। প্রত্যেক নবী ও সত্যপন্থীরাই নিজ নিজ যুগে যুগে বিরুদ্ধ শক্তির সাথে কঠোর সংগ্রাম
ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্যে দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমান যুগেও এর ব্যতিক্রম
হবার কোন কারণ নেই। তাই ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনকারীদের এ পথে মরণপণ সংগ্রাম
ও ত্যাগ-তিতিক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
প্রথমত: ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে সর্বপ্রথম
পরিবার ও নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকেই বাধা আসতে পারে। পরিবারের লোকদের ভিন্ন মন-মানসিকতা
কিংবা ইসলামী আন্দোলনের প্রতি বিরূপ মনোভাব যে কোন কিছুই হতে পারে এ বাধার কারণ। এ
বাধা হতে পারে কেবল মুখে বা তিরস্কারে কিংবা আরো সরাসরি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং তাঁর
সাহাবীদের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক বাধা তাদের নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকেই এসেছিল। তাঁরা ধৈর্যের
সাথে সেটাকে অতিক্রম করেছিলেন এবং ক্রমাগত তাদের বুঝিয়ে গেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর প্রতি তাঁর চাচা আবু জেহেল ও কুরাইশ বংশের অন্যান্য আত্মীয়রা সীমাহীন কটুক্তি, লাঞ্ছনা
ও শারীরিক অত্যাচার চালিয়ে ছিলো। মুসআব বিন উমায়র (রা.) এর মা তাকে বেঁধে রেখেছিল যাতে
তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর কাছে না যেতে পারেন। সা’দ (রা.) এর মা মাতৃত্বের দোহাই
দিয়ে তাঁকে মুহাম্মদ (সাঃ) এর দ্বীন ত্যাগ করতে বলেছিলেন। হযরত উমর (রা.) নিজে ইসলাম
গ্রহণের পূর্বে তার বোন ফাতিমা (রা.) ও ভগ্নিপতি সাঈদকে (রা.) ইসলাম গ্রহণের জন্য পিটিয়ে
রক্তাক্ত করেছেন। এছাড়াও যে সমস্ত দাস ইসলাম গ্রহণ করেছিল তাদের কাফের মনিবরা অমানুষিক
নির্যাতন চালিয়েছিল তাদের উপর। বিলাল (রা.) কে তার মনিব উমাইয়া ইবনে খালফ ইসলাম ত্যাগে
বাধ্য করতে তাঁর বুকের উপর ভারী পাথর চাপা দিয়ে দুপুরবেলা মরুভূমির তপ্ত বালুর উপর
শুইয়ে রাখতো।
দ্বিতীয়ত: ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িয়ে আন্দোলনকারীকে ব্যক্তিগত
পার্থিব ক্ষতি মেনে নিতে হবে। হয়তো সে আন্দোলন বাদ দিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে
পারতো, কিংবা তার ব্যবসা বা চাকরীতে আরো বেশী সময় দিয়ে বেশী লাভ বা উন্নতি করতো পারতো।
এমনও হতে পারে যে আন্দোলনে যুক্ত থাকার অপরাধে তার চাকরী চলে গেলো, বা ব্যবসা বন্ধ
হয়ে গেলো। আল্লাহ্’র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তাকে এসব ত্যাগ মেনে নিতে হবে। সে যদি বিশ্বাস
রাখে যে রিযিক ও বিপদাপদ এসবই আল্লাহ্’র কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট করে দেয়া তাহলে এ সময়
ধৈর্য্য ধারণ তার পক্ষে সহজ হবে। হযরত আবু বকর (রা.) প্রতিষ্ঠিত কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন।
ইসলামের কাজ করতে গিয়ে তাঁর এই ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনুরূপে সাহাবীরা (রা.) মক্কায়
তাদের বড় বড় ব্যবসা ছেড়ে গিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মদীনায় হিজরত করেন।
তৃতীয়ত: ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে সামাজিক
প্রতিরোধ আসতে পারে। এটা হতে পারে নিন্দা, কটুবাক্য কিংবা শারীরিক লাঞ্ছনা ইত্যাদি
আকারে। যেমন কেউ ফ্যানাটিক, মৌলবাদী ইত্যাদি বলতে পারে। আন্দোলনকারীদের সাথে বিয়ে বা
অন্যান্য সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপত্তি জানাতে পারে, এমনকি সামাজিকভাবে তাদের
বয়কটও করতে পারে। এলাকায় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের কাজকে ব্যহত করার জন্য তাদের
ভয়ভীতি দেখাতে পারে, মারপিটও করতে পারে। মক্কার সমাজে ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) ও তাঁর সাহাবীদেরকে প্রচন্ড সামাজিক প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। কাফেররা
একের পর এক প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে রাসূলকে (সাঃ) আশ্রয়দাতা আবু তালিবের উপর সামাজিক চাপ
সৃষ্টি করছিলো তাঁকে নিবৃত্ত করার জন্য। এক্ষেত্রে তারা বাপ-দাদার ঐতিহ্য, মুরুব্বীদের
সম্মান, মর্যাদা ইত্যাদির অজুহাত পেশ করেছিলো। এছাড়াও তারা তাদের বখাটে ও দুশ্চরিত্র
লোকদের রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। একদিন তারা সকলে একত্রে তার গলায়
চাদর পেঁচিয়ে শ্বাসরূদ্ধ করার চেষ্টা করে; তাঁর উপর উটের ভূড়ি নিক্ষেপ করে ইত্যাদি।
মুসলমানদেরকে যদি কেউ আশ্রয় বা নিরাপত্তা দেয় তাকেও তারা বাধ্য করে তা সরিয়ে নিত। কোন
সম্ভ্রান্ত ও জনবল সম্পন্ন লোক ইসলাম গ্রহণ করলে আবু জেহেল তাকে বলতো, “তোর মান-মর্যাদা
ভূ-লুণ্ঠিত করবো”, কোন ব্যবসায়ী ইসলাম নিলে সে বলতো “তোর ব্যবসা শেষ করব ও তোর ধনসম্পদ
ধ্বংস করবো”। (সীরাতে ইবনে হিশাম) এভাবেই তারা নানা সামাজিক বাধা আরোপ করতো।
চর্তুথত: ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকারীকে রাষ্ট্রীয় বাধার মুখোমুখি
হতে হবে। এ বাধার স্তরগুলো হতে পারে নিম্নরূপ:
মিডিয়া প্রচারণা:
ইসলামের
জন্য আন্দোলনকারীদের জঙ্গী, রাষ্ট্রদ্রোহী, ক্ষমতালোভী, বর্বর ইত্যাদি বলে প্রচার করা
যাতে তাদেরকে জনবিচ্ছিন্ন করা যায়। মক্কায় রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর বিরুদ্ধে তারা কবি,
গণক, পাগল, জাদুকর, ক্ষমতালোভী ইত্যাদি মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে তাঁর কাছ থেকে
দূরে রাখার চেষ্টা করতো।
ইসলামের আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা:
সমাজের
মানুষের কাছে যেন এই দাওয়াত না পৌঁছায় এজন্য আন্দোলনকারীদেরকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে
এবং জনগণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততায় নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। মক্কায় রাসূল (সাঃ) এবং তাঁর
সাহাবীদের তিন বছরের জন্য একটি উপত্যকায় বয়কট করে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। অনুরূপে,
ইবনে দাগিন্না যখন আবু বকরকে (রা.) নিরাপত্তার আশ্রয় দেয়, তখন তাঁর উচ্চস্বরে কুরআন
পাঠ শুনে মক্কার নারী-পূরুষরা আকৃষ্ট হচ্ছে দেখে তারা উচ্চ স্বরে কুরআন পাঠকেও নিষিদ্ধ
করে। আব্দুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) প্রকাশ্যে কুরআন পাঠ করায় তারা একযোগে তাঁকে প্রহার
করে। এভাবে বিভিন্ন উপায়ে তারা তাদের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে পারে।
প্রলোভন:
আন্দোলনকারীদের
কোনভাবেই দমন করা না গেলে শেষ চেষ্টা হিসেবে তাদেরকে প্রলোভিত করে আন্দোলনের পথ থেকে
সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা হতে পারে - তাদেরকে বড় অংকের টাকা দেয়া, অন্য দলে টেনে নিয়ে বড়
কোন পদ দেয়া, তাদেরকে নিজেদের জোটে টেনে আনা ইত্যাদি। মক্কায় কাফেররা কোনক্রমেই রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) কে থামাতে না পেরে পরিশেষে এই প্রস্তাব নিয়ে আসে যে, “তুমি নেতৃত্ব চাইলে আমরা তোমাকে আমাদের
নেতা হিসেবে মেনে নিচ্ছি, সুন্দরী নারী চাইলে কুরাইশদের যে কোন ঘর থেকে পছন্দমত তোমাকে
দশজন নারী বেছে নেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি, সম্পদ চাইলে যে কোন কুরাইশের চেয়ে তোমাকে ধনী
বানিয়ে দিচ্ছি” এবং এসবের বিনিময়ে তিনি যেন তাঁর ইসলাম প্রচার থামান। কিন্তু
রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এ সবকিছুই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
কঠোর নির্যাতন/হত্যার প্রচেষ্টা:
সবকিছু
ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও কর্মীদের উপর কঠোর নির্যাতন এমনকি তাদেরকে
হত্যা প্রচেষ্টা চালাতে পারে। তাদের উপর নেমে আসতে পারে মামলা, রিমান্ড, গ্রেফতার,
জেল, হাজতবাস, নির্যাতন, এরূপ আরো অনেক কিছু। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কে একাধিকবার
কুরাইশরা হত্যার চক্রান্ত করেছিলো। একবার তারা তাঁর চাচা তালিবের কাছে এই প্রস্তাব
নিয়ে আসে যে তিনি যেন কুরাইশ বংশের অন্য কোন সুদর্শন, সুঠাম যুবকের বিনিময়ে মুহাম্মদ
(সাঃ) কে তাদের হাতে তুলে দেন এবং তারা তাঁকে হত্যা করবে। হিজরতের রাতে কুরাইশরা তাদের
সবগোত্র থেকে একজন করে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কে হত্যার উদ্দেশ্যে একত্র হয়। ইসলাম
গ্রহণের কারণে আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) এবং আরো কয়েকজন সাহাবী (রা.)কেও তারা হত্যাও
করেছিলো।
ইসলাম
প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকারীদের সামনে এসবই একযোগে আসতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে ভয় পেলে বা
টলে গেলে তাদের চলবেনা, বরং এটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বাভাবিক পথ এটা তাদেরকে বুঝতে
হবে। সাহাবা (রা) রা যখন এসব মর্মান্তিুক নির্যাতনের শিকার হয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
কাছে এ সব থেকে নিস্কৃতির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনার জন্য বললেন, তখন উত্তরে তিনি
বললেন, “তোমাদের পূর্বযুগে (আল্লাহর দ্বীন গ্রহণের কারণে) এমন হয়েছে যে, মাটিতে গর্ত
খুঁড়ে পুঁতে তার মাথা করাত দিয়ে কেটে দু টুকরো করা হয়েছে, লোহার চিরুনী দিয়ে তার শরীর
থেকে হাড্ডি-মাংস আলাদা করা হয়েছে। এতদসত্ত্বেও সে তার দ্বীন ত্যাগ করেনি।” (বুখারী)
দ্বীন
প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনকারীর উচিত এ পথে তার সব ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের ক্রমবৃদ্ধিকে
বিজয় নিকটবর্তী হবার চিহ্ন এবং আল্লাহ’র সাথে তাঁর নৈকট্য বৃদ্ধি ও ক্রমোন্নতির সিঁড়ি
হিসেবে দেখা। তবেই তার জন্য সহজ হবে সহজে এসবকে অতিক্রম করে বিজয় অর্জন করা।
চমতৎ ও দরকারী পোস্ট
উত্তরমুছুন