বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১২

টাইগার-শার্কের অন্তরালে ক্রুসেডার আমেরিকা কর্তৃক বাংলাদেশ দখলের পাঁয়তারা পর্ব-২

(খিলাফাহ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ অবলম্বনে)
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস (CRS) কর্তৃক বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা নিয়ে “Bangladesh: Political and Strategic Developments and US Interest”(বাংলাদেশঃ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কৌশলগত বিষয়সমুহ এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ; যার লেখক এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ব্রুস ভন, প্রকাশের তারিখ ০১ এপ্রিল, ২০১০ইং) শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টে বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন নীতির কতগুলো মৌলিক উদ্দেশ্য সুচতুরভাবে উপস্থাপিত হয়েছেঃ
১। “সন্ত্রাস দমন” এবং কট্টর ইসলামপন্থীদের দমনের জন্য বাংলাদেশকে মার্কিন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা।
২। দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার বন্ধনকে(Military to Military Ties) বিশেষ করে মার্কিন এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যকার বন্ধনকে সুদৃঢ় করা এবং
৩। এ অঞ্চলকে মার্কিন স্বার্থের অনুকূলে আনার লক্ষ্যে, “চীন ও ভারতের মধ্যকার আঞ্চলিক ভারসাম্য” প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানকে ব্যবহার করা।
এই রিপোর্টে মার্কিন শকুনরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে তাদের এবারের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ ও এদেশের মুসলিমরা। চীনের বিরুদ্ধে করা তাদের পরিকল্পনা মোটেও মুসলিমদের বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্রের মত ভয়াবহ নয়। তারা কোনদিনও চীন দখল করবে না কিংবা গণহারে তাদের লোকদের হত্যাও করবে না। কিন্তু মুসলিমদের প্রতি সাম্রাজ্যবাদীদের পরিকল্পনাই হল দখল আর গণহত্যা চালিয়ে রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে ইসলামের উত্থানকে ও খিলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে প্রতিহত করা। এ লক্ষ্যে বর্তমানে বর্তমানে ক্রুসেডার আমেরিকা ও মুশরিক শত্রু রাষ্ট্র ভারত সমঝোতায় উপনীত হয়েছে যে, এ অঞ্চলের (বিশেষ করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের) শাসকদের ভারতের সাথে তাদের নিজ নিজ দেশের দীর্ঘদিনের বিবাদমান ইস্যুগুলো সমাধানের জন্য নির্দেশ দেবে, যার অর্থ হচ্ছে ভারতীয় স্বার্থের অনুকূলে এসব দেশকে নিজেদের স্বার্থ বিসর্জন দিতে হবে, ইতিমধ্যেই ব্রাক্ষ্মণ্যবাদী ভারতীয় আগ্রাসনের শিকার নতজানু বাংলাদেশকে ভারতের প্রতি আরো নতজানু হতে হবে, যা ভারতের হস্তদ্বয়কে উন্মুক্ত করে দিবে; আর তারপর ইসলামের চরম এই দুই শত্রু তাদের মধ্যে তাদের পদচিহ্নকে নিশ্চিত ও শক্তিশালী করবে। এ কারণেই শেখ হাসিনা একদিকে ভারতের চাহিদাসমূহ পূরণ করতে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে এবং সেই সাথে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি, বিশেষ করে তাদের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এদেশকে ইরাক ও আফগানিস্তানে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মুসলিমের রক্তে রঞ্জিত রক্তপিপাসু মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ গ্রহণের ঘাঁটিতে পরিণত করছে।
অন্যদিকে বিরোধী দলীয় বিএনপি জোট নেতৃবৃন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আয়োজিত এই একের পর এক সামরিক মহড়া এবং বাংলাদেশকে ভারতের সাথে হাত মেলাতে বাধ্য করে এদেশকে করতলগত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের সামনে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। তারা হল কাপুরুষ, ভীতু ও মেরুদণ্ডহীন এবং তাদের সাম্রাজ্যবাদী প্রভু আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও প্রকার শব্দ উচ্চারণ কতের তারা অক্ষম। এজন্যই ইসলাম ও মুসলিমদের ঘোরতর শত্রু আমেরিকার সাথে একান্ত আলাপচারিতায় বসতে বিএনপি জোট নেতৃবৃন্দ কখনো অস্বীকৃতি জানায়না। কারণ মার্কিনীদের চোখের চাহনীতেও তাদের হৃদয় প্রকম্পিত হয়। বস্তুত আমাদের সরকার ও বিরোধী দলীয় শাসকগোষ্ঠী এতটাই মেরুদণ্ডহীন ও বিশ্বাসঘাতক যে তাদেরকে দিল্লী কিংবা ওয়াশিংটন ডেকে পাঠালে তারা ভক্তিতে গদগদ হয়ে উঠে; জনগণের স্বার্থকে বিকিয়ে দিতে বলা হলে তারা দালালীর প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। মুসলমানদের রক্ত, জান মাল নিরাপত্তা তারা সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের সন্তুষ্টির জন্য উপঢৌকন হিসাবে সমর্পণ করে। রক্ত পিপাসু আগ্রাসী বাহিনীর মনোরঞ্জনের জন্য তারা মুসলিম নারীর ইজ্জতকেও বিকিয়ে দিতে কুণ্ঠিত হয় না। বিনিময়ে তারা শুধুমাত্র ক্ষমতায় থেকে কিংবা ক্ষমতায় গিয়ে সামান্য কিছু ছিটে ফোটা উচ্ছিষ্ট ভোগ করেই সন্তুষ্ট থাকে।
এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট বর্তমান এসব মেরুদন্ডহীন, তাঁবেদার ও মানসিকভাবে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ শাসকগোষ্ঠী ও রাজনীতিবিদ দ্বারা আমাদের দেশ ও জাতির কোনও স্বার্থই সংরক্ষিত হবে না। যেখানে সাম্রাজ্যবাদী হায়েনারা সর্বশক্তি নিয়োগ করে তাদের ভয়ঙ্কর আগ্রাসী থাবায় আমাদেরকে কুক্ষিগত করতে উদ্যত হয়েছে সেখানে আমাদেরকে রক্ষা করার জন্য এসব শাসকগোষ্ঠী ও রাজনীতিবিদ কোন পদক্ষেপ তো গ্রহণ করেইনি, বরং তাদের আচরণ দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে জনগণের চোখে ধূলা দিয়ে তারা যত দ্রুততম সময়ে সম্ভব তাদের উপর অর্পিত সাম্রাজ্যবাদী প্রভূদের ঘৃণ্য দায়িত্ব পালন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারলেই সন্তুষ্ট। ক্ষমতায় টিকে থাকা কিংবা ক্ষমতায় আরোহণ করতে পারাকেই তারা তাদের সফলতার একমাত্র ও সর্বোচ্চ মানদন্ড হিসাবে বেছে নিয়েছে। তাই একদল রক্তলোলুপ আমেরিকান হায়েনাদের এদেশের মাটিতে আনার সব রকমের আয়োজন সুচারূভাবে সম্পন্ন করছে এবং অন্য দল মুখে কুলুপ এঁটে দিয়ে ন্যাক্কারজনকভাবে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এরা আমাদের জনগণের প্রতি পাথরের চেয়েও কঠোর কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের প্রতি মোমের চাইতেও কোমল; জনগণকে বোকা বানিয়ে সাম্রাজ্যবাদী হায়েনাদের এজেন্ডাগুলোকে বাস্তবায়ন করতে পারাকে তারা তাদের কৃতিত্ব মনে করে। তারা মনে করে জনগণকে বুঝতে না দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রগুলোক নিয়ে টু শব্দটি উচ্চারণ না করা সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সচেতনতা। এরা সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে মুসলমানদেরকে মৌলবাদী, জঙ্গী, সন্ত্রাসী বলে অহরহ গালিগালাজ করে পক্ষান্তরে ফিলিস্তিন, ইরাক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে লক্ষ লক্ষ মুসলমানের রক্তে রঞ্জিত সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের ক্ষণিকের জন্যও তোষামোদ করতে পারাকে মনে করে জীবনের মহাসঞ্চয়। দুনিয়ার লোভ, সাম্রাজ্যবাদী প্রভূদের ভয়, ভোগের লালসা এবং অসীম ক্ষমতালিপ্সা এদেরকে চারদিক থেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে পঙ্গু করে ফেলেছে। এরা যেন সাম্রাজ্যবাদী হায়েনা ওবামার অফিসে চাকুরী নিয়েছে; আমেরিকান বাহিনীর এদেশে আগমন নিষ্কণ্টক করা, ইসলাম ও মুসলমানদেরকে ধ্বংস করা এবং এদেশ ও জনগণের স্বার্থকে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থে বিকিয়ে দেওয়াই এসব দাসানুদাস চাকুরের একমাত্র কাজ। এদের হাতে এক মুহূর্তের জন্যও আমাদের জাতির ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্ব থাকা নিরাপদ নয়।
এ রাজনীতি, রাজনীতিবিদ ও শাসকগোষ্ঠীর দুষ্টচক্র থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বের হতে হবে। সেদিন খুব বেশী দূরে নয় যেদিন সাধারণ মানুষ সাম্রাজ্যবাদী হায়েনাদের কাছে নতজানু দাসানুদাস এসব রাজনীতিবিদ ও দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ইতিহাসের আস্তাকূড়ে ছুঁড়ে ফেলবে। মানব সমাজের অতীত ইতিহাসের দিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাব চরম জুলুম নির্যাতনের মধ্য দিয়েই মানুষ তার অধিকার আদায়ের শিক্ষাটি নেয়; শোষণ বঞ্চনার মধ্যে থেকেই তারা রাজনৈতিক পরিপক্কতা অর্জন করে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ই মানুষ তাদের সত্যিকারের মুক্তির পথটি চিনতে পারে, তাদের মধ্যে জন্ম নেয় সঠিক রাজনৈতিক চেতনা এবং তারা চিনতে পারে স্বার্থত্যাগী রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
সঠিক রাজনীতি বুঝতে হলে আমাদেরকে জানতে হবে চলমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বর্তমান রাজনীতির চরিত্রটি আসলে কেমন। জনগণকে লোডশেডিং এর চিন্তায় ব্যস্ত রেখে সাম্রাজ্যবাদীদের দোসর শেখ হাসিনা যখন আগ্রাসী আমেরিকান বাহিনীর বাংলাদেশের মাটিতে ঘাঁটি স্থাপন করাকে সহজ করে দেয় তখন আমাদেরকে বুঝতে হবে এই লোডশেডিং কোন জাতীয় ইস্যু নয়; বরং এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিরই একটি অংশ মাত্র। মূলত এখন আমাদের দেশে নিজেদের জাতীয় রাজনীতির কোন অস্তিত্বই আর অবশিষ্ট নেই, পুরোটাই মুসলিম ভূমিতে সাম্রাজ্যবাদীদের দখলদারিত্বকে পাকাপোক্ত করার জন্য তাদের আজ্ঞাবহ কিছু দাসানুদাস রাজনীতিবিদের রাজনীতি নামে জনগণকে প্রতারিত করার একটি সাজানো মঞ্চস্থ নাটক। আসলে আমরা দেশী বিদেশী হিংস্র হায়েনাদের এক ভয়াল ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে গেছি; ক্ষুদ্র গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ থেকে সমাধান খুঁজতে থাকলে আমরা কখনোই এই ভয়াল থাবা থেকে বের হতে পারব না। সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসী থাবা থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমাদের প্রয়োজন একটি শক্তিশালী আদর্শ ভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সৎ, যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্ব। শুধুমাত্র ইসলামের মাধ্যমেই সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থা - খিলাফত ব্যবস্থার মাধ্যমেই এমন অকুতোভয়, যোগ্য ও সাহসী নেতা তৈরী করা সম্ভব, যারা সাহসিকতার সাথে কাফির মুশরিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে সমর্থ হবে এবং তাদের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে পারবে। খিলাফত রাষ্ট্রের খলিফারাই সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর পথ অনুসরণ করে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির ভয়ঙ্কর আগ্রাসন থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসবে এবং সর্বোপরি, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুর্বল ও ভঙ্গুর মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের স্থলে একটি একক, শক্তিশালী ও বৃহৎ রাষ্ট্র গঠন করে সমাপ্তি ঘটাবে মুসলিম উম্মাহর এই কলঙ্কজনক অন্ধকার অধ্যায়ের। রাসূল (সা.) বর্তমান প্রজন্মের জন্য খিলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন,
“তোমাদের মধ্যে নবুয়্যত থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন, তারপর তিনি তার সমাপ্তি ঘটাবেন। তারপর প্রতিষ্ঠিত হবে নবুয়্যতের আদলে খিলাফত। তা তোমাদের মধ্যে থাকবে ততক্ষণ যতক্ষণ আল্লাহ্ ইচ্ছা করবেন, অতঃপর তিনি তারও সমাপ্তি ঘটাবেন। তারপর আসবে যন্ত্রণাদায়ক বংশের শাসন, তা থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন। এক সময় আল্লাহ্র ইচ্ছায় এরও শেষ হবে। তারপর প্রতিষ্ঠিত হবে জুলুমের রাজত্ব এবং তা তোমাদের উপর থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ্ ইচ্ছা করবেন। তারপর তিনি তা অপসারণ করবেন। তারপর আবার ফিরে আসবে খিলাফত নবুয়্যতের আদলে। এরপর তিনি (সা.) নীরব থাকলেন।”
এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে এ মুহূর্তে মুসলিম ভূমিগুলোতে বিরাজ করছে চরম জুলুমের রাজত্ব। দেশে দেশে মজলুম মানুষের করুণ হাহাকার আর আর্তমানবতার মুক্তির তীব্র আকুতি আমাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছে এই জুলুমের শাসন পতনের একেবারে দ্বারপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে সমাজতন্ত্রের চির বিদায়ের পর একমাত্র ইসলামই এই জুলুমের শাসনকে তীব্রভাবে চ্যালেঞ্জ করেছে; সুতরাং মানব ইতিহাসের পটপরিবর্তনের স্বাভাবিক নিয়মেই এরপর প্রতিষ্ঠিত হবে খিলাফত। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কোরআনে আমাদেরকে খিলাফত রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন-
“তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসন কর্তৃত্ব (খিলাফত) দান করবেন যেমন তিনি শাসন কর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের দ্বীনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। [সুরা নুরঃ ৫৫]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন